বেঈমানি ও জুলুমের শাস্তি আল্লাহ পৃথিবীতেই দেখিয়ে দেন
---------------------------------------------------------------------------
কারবালায় নবীর পেয়ারা দৌহিত্র ইমাম হুসাঈন আ: কে অমানবিকভাবে শহীদ করে ও মুসলমানদের পবিত্র কাবা ঘরে আগুন লাগানোর ১১ দিনের মাথায় রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় ইয়াজিদের। শেষ হয় তার তিন বছর নয় মাসের ক্ষমতা। সময়টা ১২ নভেম্বর ৬৮৩। ইসলাম মুক্ত হয় এক জালেম শাসকের হাত থেকে। এই নিয়ে আছে নানা মত। তার মৃত্যুর অনেক কয়েকটি কারণ সন্দেহ করা হয়।
#কেউ কেউ বলেন, এক বিরল রোগে আক্রান্ত হন ইয়াজিদ। অজানা এই রোগের কোনো ধরনের চিকিৎসা দিতে পারেনি চিকিৎসকেরা। #কেউ কেউ বলে এসময় তিনি প্রচণ্ড পানির তৃষ্ণায় ভুগতেন কিন্তু পানি দিলেই খেতে পারতেন না সেই পানি। এমনভাবে যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে পানির তৃষ্ণায় শেষ পর্যন্ত মারা যায় ইয়াজিদ। #আবার অনেকে বলেন, গোসলখানায় পড়ে গিয়ে মৃত্যুবরণ করেন ইয়াজিদ। মৃত্যুর পর অস্বাভাবিকভাবে তার পুরো শরীর কালো কুচকুচে হয়ে গিয়েছিল। #আবার অনেকে বলেন, ঘোড়া থেকে পড়ে মৃত্যু হয় ইয়াজিদের। ডাক্তারের পরামর্শে তার প্রিয় বানরকে নিয়ে শিকারে বের হয়েছিল ইয়াজিদ। হঠাৎ বানরটি হারিয়ে গেলে তাকে খুঁজতে এক গহিন পাহাড়ে গিয়ে পৌঁছায়। এমনসময় ঘোড়া থেকে পড়ে যায় ইয়াজিদ কিন্তু ছুটন্ত ঘোড়া আর না থেমে আরো দ্রুত ছুটতে থাকে। তার শরীর ঘোড়ার সাথে বাঁধা থাকায় পাথরের আঘাতে মৃত্যু বরণ করে ইয়াজিদ। আর ঘোড়াটি অস্বাভাবিকভাবে ছুটতে থাকায় ছিন্ন ভিন্ন হয়ে যায় ইয়াজিদের শরীর।
##তবে ইতিহাসবিদের মতে প্রথম ও তৃতীয় কারণটিই ইয়াজিদের সবচেয়ে গ্রহণযোগ্য মৃত্যুর কারণ হিসেবে ধরা হয়।
#আবার যারা পলাশীর প্রান্তরে বাংলার শেষ নবাব সিরাজউদ্দৌলার সাথে বিশ্বাসঘাতকা করে ব্রিটিশদের সাথে হাত মিলিযে বাংলার স্বাধীনতা হরন করতে সহায়তা করেছিল তাদের প্রত্যেকের মৃত্যৃ স্বাভাবিকভাবে হয়নি।
পৃথিবীতে আরো নজীর রয়েছে বিশ্বাসঘাতকতা ও জুলুমের নিদারূন পরিনতির।
আমাদের সমাজে ও দেশে ও এরূপ বিশ্বাসঘাতক রয়েছে যারা প্রতিনিয়ত বেঈমানি ও জুলুমের প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষ ইন্ধনদাতা তারা নিজেদের এরূপ মানসিক রোগের কঠিন পরিনতি সম্পর্কে না জানলেও আশেপাশের মানুষজন ধৈর্য্য ধারন করুন। আল্লাহ উত্তম বিচারক। তিনি দিন শেষে সঠিক বিচার করে দিয়ে নজির স্থাপন করবেন।
- জাহিদ আহমেদ ও তার স্মৃতি পরিষদ।