মঙ্গলবার, ১৫ মার্চ, ২০২২

অর্থনৈতিক শক্তিধর দেশ : সংযুক্ত আরব আমিরাত (প্রথম পর্ব)

  A_©‰bwZK kw³ai †`k : mshy³ Avie AvwgivZ (প্রথম পর্ব)

c„w_exi †h †`k¸‡jv Pig A_©‰bwZK `yive¯’v KvwU‡q DbœwZi wkL‡i †cŠ‡Q AvR wek^evmxi Kv‡Q A_©‰bwZKfv‡e kw³kvjx, kvwšÍgq RxeY I wejvmxZvi ¯’v‡b cwib‡Z n‡q‡Q †m me †`‡ki g‡a¨ mshy³ Avie AvwgivZ, gv‡jwkqv, Pxb Ab¨Zg| Gme †`‡ki `ªæZ Dbœqb I cwieZ©‡bi †cQ‡b i‡q‡Q hyM‡cv‡hvwM ivwóªq wm×všÍ , A_©‰bwZK cwiKíbvmn RbM‡Yi AskMÖnY I Av‡iv A‡bK welq| 

প্রথম পর্ব

mshy³ Avie AvwgivZ (United Arab Emirates – UAE আরবি: دولة الإمارات العربية المتحدة‎‎ দাওলাত্ আল্-ঈমারাত্ আল্-আরবিয়াহ্ আল্-মুত্তাহিদাহ্ )

সংযুক্ত আরব আমিরাত আরব উপদ্বীপে পারস্য উপসাগরের দক্ষিণ-পূর্বে এবং ওমান উপসাগরের উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত একটি দেশ। সংযুক্ত আরব আমিরাত ৭টি আমিরাত দ্বারা গঠিত এবং এটি একটি যুক্তরাষ্ট্র হিসেবে ১৯৭১ সালের ২রা ডিসেম্বর প্রতিষ্ঠিত হয়। সাতটি আমিরাতের মধ্যে ছ’টি (আবুধাবি, দুবাই, শারজাহ, আজমান, উম্মুল কুয়াইন এবং ফুজিরা) ঐ দিন সংযুক্ত হয়। সপ্তমটি, রাস-আল-খাইমা, ১৯৭২ সালের ১০ই ফেব্রুয়ারি যুক্তরাষ্ট্রে যোগদান করে। ১৯শ শতকে ব্রিটিশদের স্বাক্ষরিত একটি চুক্তি অনুসারে সাতটি রাষ্ট্র পূর্বে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্র নামে পরিচিত ছিল।

আমিরাতে প্রাপ্ত হস্তনির্মিত বস্তু থেকে এই অঞ্চলের মনুষ্য বসতিস্থাপনের ও মেসোপটেমিয়ার মত সভ্যতার সঙ্গে স্থানীয় বাণিজ্য চলাচলের সুপ্রাচীন ইতিহাস পাওয়া যায়। এই অঞ্চলের উপকূলে ও অভ্যন্তরস্থ স্থানে কিছু সংখ্যক উপজাতি প্রথমে বসতি স্থাপন করে এবং তাদের খ্রিস্টীয় সপ্তম শতকে ইসলামীকরণ করা হয়। ৬৩২ খ্রিষ্টাব্দে রাসূল (স:) এর নির্দেশে দূতের / সাহাবীর আগমনে এই অঞ্চলটি ইসলামে রূপান্তরিত হয় রাসূলের তীরোধানের পর বর্তমান ফুজাইরার দিব্বায় রিদ্দার যুদ্ধ সংঘটিত হয়। এই যুদ্ধে অমুসলমানদের পরাজয়ের ফলে সমগ্র আরব উপদ্বীপে ইসলামের জয়জয়কার ঘোষিত হয়। বর্তমান আমিরাত ভূখণ্ড খ্রীস্টিয় ১৬শ শতকে অটোমান সাম্রাজ্যের সরাসরি অধিকারে আসে ভাস্কো-দা-গামার সমুদ্র জলপথ আবিষ্কারের পর ১৬শ শতকে ভারত মহাসাগরে পর্তুগীজদের প্রভাব বৃদ্ধি পাওয়ায় তারা বহু উপকূলীয় দ্বীপে লুণ্ঠন চালাতে থাকে। এরপর ব্রিটিশরা এই অঞ্চলটিকে “জলদস্যুদের উপকূল” বলত; এই অঞ্চলে ১৭শ থেকে ১৯শ শতক পর্যন্ত ইউরোপীয় এবং ওমানীয় নৌবাহিনী নজরদারি চালানো সত্ত্বেও হানাদারেরা জাহাজ শিল্পের ওপর আক্রমণ হানত। রাস-উল-খাইমার হানাদারের হাত থেকে ভারতীয় শিল্পকে বাঁচাবার উদ্দেশ্যে ব্রিটিশরা অভিযান চালায় যার ফলশ্রুতি হিসেবে ১৮১৯ সালে রাস-উল-খাইমার সদর দপ্তরে এবং ঐ উপকূল বরাবর অন্যান্য বন্দরে এর বিরুদ্ধে পাল্টা অভিযান শুরু হয়। পরের বছর, উপকূল অঞ্চলের সমস্ত শেখেদের নিয়ে একটি শান্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। ১৮৩৫ সাল পর্যন্ত মাঝে মাঝেই হানাদারের আক্রমণ চলতে থাকে, এরপর শেখেরা সমুদ্র অঞ্চলে আর কোন উৎপাত চালাবে না বলে সম্মত হয়। ১৮৫৩ সালে, যুক্তরাজ্যের সঙ্গে শেখেদের (চুক্তিবদ্ধ শেখ রাজত্ব/Trucial Sheikhdoms) একটি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয় যার দ্বারা তারা “চিরস্থায়ী উপকূলীয় শান্তি” রক্ষার জন্য সম্মত হয়। এই চুক্তি যুক্তরাজ্য কর্তৃক বলবৎ করা হয়, এবং এই চুক্তি অনুযায়ী শেখেদের মধ্যে বিতর্ক সৃষ্টি হলে তার ফয়সালা ব্রিটিশরা করত মূলত অন্যান্য ইউরোপীয় দেশগুলির গতিবিধি লক্ষ্য করে যুক্তরাজ্য এবং চুক্তিবদ্ধ শেখ রাজত্ব নিজেদের মধ্যে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের জন্য ১৮৯২ সালে আরো একটি চুক্তি স্বাক্ষর করে, এটি ছিল যুক্তরাজ্য এবং অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় অধিপতিদের দ্বারা সাক্ষরিত চুক্তির অনুরূপ। এই চুক্তি অনুযায়ী শেখেরা একমাত্র যুক্তরাজ্য ছাড়া অন্য কারুর জন্যে নিজেদের এলাকা ছেড়ে দিতে পারবে না এবং যুক্তরাজ্যের সম্মতি বিনা কোন বিদেশী রাষ্ট্রের সঙ্গে কোনরকম সম্পর্ক রাখতে পারবে না। পরিবর্তে, ব্রিটিশরা চুক্তিবদ্ধ রাজত্বের উপকূল অঞ্চলকে সমস্তরকম জলপথ আক্রমণ থেকে রক্ষা করবে এবং স্থলপথ আক্রমণেও তাদের সাহায্য করবে নুরা সাক্‌র আল ফালাহি তার “দ্য জুডিসিয়াল সিস্টেম ইন দ্য চুক্তিবদ্ধ কোস্ট” (“The Judicial System in the Trucial Coast”) বইতে লিখেছেন যে ১৮৯২ সালের চুক্তির ফলে এই দেশটিতে বহুকাল ধরে উন্নয়ন বাধাপ্রাপ্ত হয়েছিল; তুলনামূলকভাবে এই অঞ্চলে সমসাময়িক অন্যান্য রাষ্ট্রগুলি কিন্তু তত বাধার সম্মুখীন হয়নি ১৯৬৬ সালে ব্রিটিশ সরকার এই সিদ্ধান্তে আসে যে তারা বর্তমান সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আর শাসন করতে পারবে না। ব্রিটিশ পার্লামেন্টে এই নিয়ে প্রচুর বিতর্ক শুরু হয়, বেশ কিছু সাংসদ বলতে থাকেন রয়াল নেভির পক্ষে চুক্তিবদ্ধ শেখ রাজত্বকে রক্ষা করা আর সম্ভব নয়। যুক্তরাজ্যের তৎকালীন প্রতিরক্ষাবিভাগের সেক্রেটারি অফ স্টেট, ডেনিস হিলি বলেন যে ব্রিটিশ সেনাবাহিনী অত্যন্ত বেশি মাত্রায় প্রসারিত হয়ে পড়েছে এবং কিছু কিছু ক্ষেত্রে শেখরাজত্বগুলির প্রতিরক্ষার জন্য তাদের কাছে মজুত অস্ত্রের পরিমাণ বিপজ্জনকভাবে অল্প। ১৯৬৮ সালের ২৪শে জানুয়ারী, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী হ্যারল্ড উইলসন ঘোষণা করলেন যে ব্রিটিশ অধীন বাহরিণ এবং কাতারসহ সাতটি চুক্তিবদ্ধ শেখরাজত্বের সঙ্গে তারা চুক্তি সম্পর্কের অবসান চায়। ব্রিটিশ প্রস্থানের এই সিদ্ধান্ত ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে প্রধানমন্ত্রী এডওয়ার্ড হিথ পুনরায় জানিয়ে দেন এই ঘোষণার কয়েকদিন পরে শেখ জায়েদ, অভ্যন্তরীণ দূর্বলতার ভয়ে, চুক্তিটি রক্ষা করবার জন্য ব্রিটেনকে রাজি করাতে সচেষ্ট হয় এবং আমিরাতে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর সমস্ত ব্যয়নির্বাহের জন্য সম্মত হয়। কিন্তু ব্রিটিশ লেবার গভর্নমেন্ট তা খারিজ করে

আমিরাতের ফেডারেশন

লেবার সাংসদ গোরোনউই রবার্টস শেখ জায়েদকে ব্রিটিশবাহিনী প্রত্যাহারের সংবাদ জানিয়ে দেওয়ার পর, নয়টি পারস্য উপসাগরীয় শেখরাজত্ব আরব আমিরাতগুলির একটি ফেডারেশন গঠনের প্রয়াস শুরু করেন১৯৬৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে ফেডারেশনের কথা প্রথম উত্থাপন করা হয়; এই সময় আবু ধাবি এবং দুবাইয়ের শাসকগণ আর্গুব এল সেদিরার মরু অঞ্চলে মিলিত হন এবং সংগঠনের নীতি গঠনের ব্যাপারে সম্মত হনতারা, অন্যান্য পারস্য উপসাগরীয় রাষ্ট্রগুলিকে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাদের সঙ্গে জোট বাঁধবার সংকল্পের কথা ঘোষণা করেন। ঐ মাসের শেষে, বাহরিণ, কাতার এবং চুক্তিবদ্ধ কোস্টের শাসকগণ একটি শীর্ষসম্মেলনের আয়োজন করেন, সেখানে কাতার সরকার স্থির করে যে আরব আমিরাতের ফেডারেশনের গঠন এবং কার্যকলাপ ন’জন শাসক দ্বারা গঠিত একটি উচ্চ পরিষদের দ্বারা পরিচালিত হবে। এই প্রস্তাবটি গৃহীত হয় এবং সংগঠনের ঘোষণাটি অনুমোদিত হয়যদিও তখনও শাসকদের মধ্যে রাজধানীর অবস্থান, সংবিধানের খসড়া নির্মাণ এবং মন্ত্রকের বাঁটোয়ারা প্রভৃতি বিভিন্ন বিষয় নিয়ে মতান্তর ছিল

আরব আমিরাতের প্রস্তাবিত সংঘ

আরও কিছু রাজনৈতিক সমস্যা দেখা দিতে লাগল যখন বাহরিণ নিজেকে নয় রাজ্যের সংগঠনের নেতৃস্থানীয় ভূমিকায় তুলে ধরবার ব্যাপারে চাপ দিতে লাগল; এছাড়াও চুক্তিবদ্ধ কোস্ট, বাহরিণ এবং কাতারের শাসকদের মধ্যে বিভিন্ন বিষয়ে মতান্তর হতে লাগল, বিশেষত হাওয়ার দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে বাহরিণ ও কাতার দীর্ঘকাল সংঘর্ষে লিপ্ত ছিল। যদিও দুবাইয়ের শাসক শেখ রশিদের সঙ্গে কাতারীয় শাসকপরিবারের অত্যন্ত সুদৃঢ় বন্ধন ছিল, বিশেষ করে শেখ রশিদের কন্যার সঙ্গে কাতারী আমিরের পুত্রের রাজবিবাহ সম্পন্ন হয়; কিন্তু আবু ধাবির সঙ্গে দুবাইয়ের সুসম্পর্কই (এখানেও আন্তঃবিবাহ সম্পর্ক, রশিদের স্ত্রী ছিলেন আবু ধাবির শাসক পরিবারের সদস্যা শেষমেশ টিকে রইল বাহরিণ ও কাতারের সঙ্গে সমস্ত কথোপকথন ছিন্ন করে। সবমিলিয়ে, নয়জন শাসকদের মধ্যে মাত্র চারটি বৈঠক হয় আবু ধাবিতে অনুষ্ঠিত এর শেষ বৈঠকটিতে, জায়েদ বিন সুলতান আল নাহ্‌ইয়ান ফেডারেশনের প্রথম সভাপতি নির্বাচিত হন। বৈঠক চলাকালীন, উপ-রাষ্ট্রপতির অবস্থান, ফেডারেশনের সুরক্ষা এবং এর কোন সংবিধানের প্রয়োজন রয়েছে কিনা প্রভৃতি বিষয়ে বহুবার বিতর্ক সৃষ্টি হয় এবং অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়

বৈঠকের কিছু পরেই, আবু ধাবির রাজনৈতিক প্রতিনিধি এই অধিবেশনের ফলাফলের ওপর ব্রিটিশ সরকারের স্বার্থের ব্যাপারটি প্রকাশ করে দেয় এবং সাথে সাথে কাতার, স্পষ্টতই অভ্যন্তরীণ বিষয়ে বিদেশী হস্তক্ষেপের কারণে ফেডারেশন থেকে নিজেকে প্রত্যাহার করে। আলোচনাকে পুনরুজ্জীবিত করবার জন্য সৌদি আরব, কুয়েত এবং ব্রিটেনের চেষ্টা সত্ত্বেও নয় আমিরাতের ফেডারেশন অবিলম্বেই ভেঙে যায় ১৯৭১ সালের অগাস্টে বাহরিণ স্বাধীন হয় এবং কাতার স্বাধীন হয় ঐ একই বছরের সেপ্টেম্বর মাসে।  

সংযুক্ত আরব আমিরাতের আইনি ব্যবস্থা দুটি মান অনুসরণ করে। প্রথম, এটি ইসলামী শরিয়া আইন ব্যবহার করে। দ্বিতীয়, এটি একটি সংবিধান, ফেডারেল আইন এবং প্রবিধান সঙ্গে একটি বাস্তব কোড বাস্তবায়িত হয়েছে।


সংযুক্ত আরব আমিরাতে কয়টি আমিরাত আছে?

বৃহত্তম এবং ধনী আমিরাত বলা যেতে পারে সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী, আবুধাবি ( আমিরাতের মতো সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাজধানী রয়েছে) এখানে আপনি প্রাচ্য এবং আধুনিকের প্রাচীন ঐতিহ্যের সংঘর্ষ এবং কখনও কখনও ভবিষ্যত ল্যান্ডস্কেপও দেখতে পারেন। আবুধাবির প্রধান আকর্ষণগুলি হল সমৃদ্ধভাবে সজ্জিত মসজিদ, যা ব্যবসায়িক জেলার মধ্যে অবস্থিত। যে কেউ সহজেই এমন একটি জায়গা খুঁজে পেতে পারে যেখানে আপনি অনেকগুলি পার্কের মধ্যে একটিতে চির-বিকশিত মহানগর থেকে বিরতি নিতে পারেন।

পর্যটকদের মধ্যে সবচেয়ে জনবহুল এবং জনপ্রিয় আমিরাত হল দুবাই। প্রথম যে জিনিসটি আপনার নজর কাড়ে তা হল এখানে অবস্থিত আকাশচুম্বী ভবনের প্রাচুর্য। তাদের শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য থেকে শুধু মাথা ঘোরা. দুবাইতেও অনেক জাদুঘর রয়েছে, যার মধ্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় হল ফ্যালকনরি মিউজিয়াম। আমিরাত পশ্চিমে পারস্য উপসাগর দ্বারা সীমাবদ্ধ। মনোরম উপকূলের দৈর্ঘ্য 72 কিমি

শারজাহকে সংযুক্ত আরব আমিরাতের সাংস্কৃতিক রাজধানী বলা হয়। এই আমিরাত প্রচুর জাদুঘর, থিয়েটার, গ্যালারি ইত্যাদি সহ পর্যটকদের আকর্ষণ করে। কিন্তু কঠোরতম নিয়ম এখানে প্রযোজ্য, যা দর্শকদের ভয় দেখাতে পারে। শারজাহতে অ্যালকোহল নিষিদ্ধ এবং পোশাক প্রকাশ করার অনুমতি নেই। এটি তৃতীয় বৃহত্তম আমিরাত, যা একই সাথে পারস্য এবং ওমান উপসাগর দ্বারা ধুয়ে ফেলা হয়। অবশ্যই, শারজাহতে, ঐতিহ্যবাহী প্রাচ্যের বাজারগুলিও অনেকের আগ্রহের বিষয় হবে

রাষ্ট্রের ক্ষুদ্রতম আমিরাত হল আজমান। এটি সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে শান্তিপূর্ণ এবং বিনয়ী কোণ। আরামের একটি অবর্ণনীয় পরিবেশ এখানে রাজত্ব করে। আজমানে একটি দুর্দান্ত বিনোদন হতে পারে জলের ধারে পিকনিক

উম্ম আল কুওয়াইন হল একটি আমিরাত যেটি প্রধান বাণিজ্যিক বাজার, ব্যাংক এবং এর ভূখণ্ডে উপস্থিতি নিয়ে গর্ব করে। বৃহত্তম কোম্পানি. একটি কৃষি জেলা এখানে অবস্থিত, 30 টিরও বেশি জাতের খেজুর জন্মায় - পূর্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ফল

রাস আল খাইমাহ, সংযুক্ত আরব আমিরাতের সবচেয়ে উত্তরের আমিরাত, একটি অত্যন্ত মনোরম অঞ্চল যেখানে আপনি অত্যাশ্চর্য পাহাড়ের দৃশ্য দেখতে পারেন। ঐতিহাসিক দর্শনীয় স্থানের প্রাচুর্যের জন্যও এই স্থানটি উল্লেখযোগ্য। রাস আল-খাইমার পুরানো অংশে, আপনি প্রহরী টাওয়ার, একটি জীর্ণ দুর্গ, একটি প্রাচীন মসজিদ ইত্যাদি দেখতে পারেন

ফুজাইরার সুন্দর আমিরাত তার ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং সব ধরনের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের জন্য বিখ্যাত। এটি ভারতীয় উপসাগরের উপকূলে অবস্থিত, তাই এই অঞ্চলের আরেকটি সুবিধা একটি সোনালী উপকূলরেখা বলা যেতে পারে


দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাত: মরুভূমিতে বিলাসিতা

আপনি যদি প্রথমবারের মতো দেশটিতে যেতে যাচ্ছেন তবে আপনাকে কেবল প্রাথমিক তথ্য জানতে হবে, তাই আমি আপনাকে নিবন্ধটি শেষ পর্যন্ত পড়ার পরামর্শ দিচ্ছি

UAE মানে সংযুক্ত আরব আমিরাত। নামটি নিজের জন্য কথা বলে, রাজ্যটি সাতটি আমিরাত নিয়ে গঠিত। আবুধাবি তাদের মধ্যে বৃহত্তম, এর আমির এই দেশের রাষ্ট্রপতি এবং আবুধাবি শহরটি রাজ্যের রাজধানী। সংযুক্ত আরব আমিরাতের দেশটিতে তেলের ভালো মজুদ রয়েছে, যা দেশের আয়ের প্রধান উৎস

সংযুক্ত আরব আমিরাত আরব উপদ্বীপের পূর্বে অবস্থিত, আংশিকভাবে পারস্য উপসাগরের জল দ্বারা ধুয়েছে। দেশের প্রধান অংশ সবচেয়ে বড় মরুভূমি রুব আল-খালে দখল করে আছে। উত্তর ও পূর্বাঞ্চলে পার্বত্য অঞ্চলের আধিপত্য রয়েছে

দেশটির সরকার সবুজ মরূদ্যান তৈরির জন্য একটি বিশেষ কর্মসূচি তৈরি করেছে, যা সফলভাবে বাস্তবায়িত হচ্ছে। বড় শহরগুলিতে, পৌরসভার পার্কগুলি থেকে এখানে প্রচুর সবুজ গাছপালা আনা হয়

 

জলবায়ু

সংযুক্ত আরব আমিরাতে এটি খুব গরম, প্রায়শই বালির ঝড় হয়। গ্রীষ্মে, বাতাসের তাপমাত্রা প্রায় +45 ডিগ্রি, শীতকালে +20 - +22 ডিগ্রি। বৃষ্টিপাত বিরল, বেশিরভাগ শীতকালে। রাতে, তাপমাত্রা কিছুটা কমে যায়


ভাষা এবং মুদ্রা

সংযুক্ত আরব আমিরাতের সরকারী ভাষা আরবি। যাইহোক, অনেক বাসিন্দা হিন্দি, ফার্সি এবং ইংরেজিতে যোগাযোগ করে। রাশিয়ান পর্যটকদের প্রাচুর্যের কারণে, কিছু দোকান এবং হোটেলের কর্মচারীরা কিছুটা রাশিয়ান জানেন

1973 সাল থেকে, সরকারী মুদ্রা হল দিরহাম (Dh)

 

সংযুক্ত আরব আমিরাত :বিস্ময়কর নানা বিষয়ের সূতিকাগার

সংযুক্ত আরব আমিরাত ধীরে ধীরে গড়ে তুলেছে শক্তিশালী পর্যটন শিল্প। মাটির নিচের তেল ফুরিয়ে আসলেও কিংবা তেলের মূল্য হ্রাস পেলেও যাতে তার প্রভাব দেশের অর্থনীতিতে না পড়ে, তার সুদৃঢ় ব্যবস্থা করে ফেলেছে দেশটির প্রশাসন। সম্প্রতি দেশটির প্রশাসন ‘Fourth Industrial Revolution’ এর ব্যাপারে তাদের জাতীয় কৌশলপত্রও ঘোষণা করেছে। ক্রমান্বয়ে শুধু আরব বিশ্ব নয়, সারা পৃথিবীকে ছাড়িয়ে যাবার দৌড়ে নেমেছে যেন এই দেশটি। তাদের ব্যতিক্রম চিন্তাগুলো ইনকিলাব পাঠকদের জন্য তুলে ধরেছেন মোহাম্মদ আবদুল অদুদ।

১. প্রথম কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক মন্ত্রী : আরব আমিরাতকে সমৃদ্ধ করে তুলতে ২০১৭ সালের সেপ্টেম্বরে ঘোষিত কৌশলপত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার উপর ব্যাপক জোর দেওয়া হয়েছে। শুধু নীতি প্রণয়ন করেই ক্ষান্ত হয়নি আমিরাত সরকার, ২৭ বছর বয়সী তরুণ উমার বিন সুলতান আল উলামাকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে দেশের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বিষয়ক মন্ত্রী হিসেবে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে এটাই প্রথম ঘটনা। মূলত আরব আমিরাতকে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার চর্চা আর গবেষণার কেন্দ্রে পরিণত করতেই এমন উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।

২. প্রথম ফ্লাইং ট্যাক্সি সার্ভিস : সংযুক্ত আরব আমিরাত শুরু থেকেই তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর চেষ্টা করেছে। প্রশস্ত রাস্তা, সুপার হাইওয়ের জন্য বিশ্বজুড়ে খ্যাতি আছে আমিরাতের। কিন্তু তাদের চিন্তা, সবাইকে ছাড়িয়ে যেতে ও দীর্ঘপথ খুব অল্প সময়েই পাড়ি দেয়া যাবে ফ্লাইং ট্যাক্সিতে চড়ে। কল্পবিজ্ঞানের বই থেকে উড়ন্ত এই ট্যাক্সিগুলোকে যেন একদম বাস্তবে নিয়ে এসেছে দুবাইয়ের প্রশাসন। Autonomous Air Taxi (AAT) নামে পরিচিত এই ট্যাক্সি সার্ভিস পৃথিবীর সর্বপ্রথম স্বনিয়ন্ত্রিত ট্যাক্সি সার্ভিস। বিদ্যুতচালিত এই উড়ন্ত ট্যাক্সি চলেও দুরন্ত গতিতে। এই ট্যাক্সি গড়ে পঞ্চাশ কিলোমিটার পথ অতিক্রম করে আধঘণ্টায়।
অত্যাধুনিক এই ট্যাক্সির সাহায্যে আবুধাবি থেকে দুবাই পৌঁছানো যাবে মাত্র ১২ মিনিটেই। এর ফলে জনসাধারণের কর্মঘন্টা বেঁচে যাওয়ার পাশাপাশি যোগাযোগ ব্যবস্থায় আসবে দ্রুতগতি। পরীক্ষামূলকভাবে চালু এই প্রকল্প দ্রুত সময়ের মধ্যেই জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত হয়ে যাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামাদান বিন মোহাম্মদ

৩. আকাশচুম্বী ভবনের খেলা : শুধু দুবাই শহরেই আছে ১,৩৪৪টি আকাশচুম্বী ভবন। ৮২৮ মিটার উঁচুতে দাঁড়িয়ে থাকা ভবন বুর্জ খলিফা তো এই শহরের প্রতীক হয়ে উঠেছে। ২০০৬ সালের এক পরিসংখ্যানে দেখা যায়, পৃথিবীর উচ্চতম ক্রেনগুলোর এক-চতুর্থাংশই কাজ করছে দুবাইয়ের আকাশচুম্বী ভবন তৈরিতে। এই উচ্চতম ভবনগুলোতেই গড়ে উঠছে অফিস, বাসা কিংবা বিলাসবহুল হোটেল।

৪. রোবট করবে পুলিশের কাজ :

কল্পকাহিনীর রোবোকপকে বাস্তবে রূপ দিয়েছে আরব আমিরাত। আইনশৃঙ্খলা ব্যবস্থায় রোবট অন্তর্ভুক্তি আমূল পরিবর্তন এনেছে দেশটিতে। নাগরিকদের সুরক্ষা দেওয়ার পাশাপাশি দ্রুত সেবা নিশ্চিত করতে দুবাই পুলিশে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে এমন যান্ত্রিক পুলিশকে।
সুনির্দিষ্ট জায়গায় পার্ক না করা গাড়ি থেকে শুরু করে জরিমানা করা- সবই করতে পটু এই রোবট পুলিশ। পাশাপাশি ফেসিয়াল রিকগনিশনের মাধ্যমে মানুষকেও শনাক্ত করতে পারবে রোবট পুলিশের এই দল। আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ব্যবহার করে সিদ্ধান্তও নিতে পারবে এই পুলিশ। দুবাই পুলিশের ডিরেক্টর জেনারেল ব্রিগেডিয়ার খালিদ নাসের আল রাজুকি রয়টার্সকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বলেন, “These kind of robots can work 24/7. They won’t ask you for leave, sick leave or maternity leave. It can work around the clock.”

৫. শিক্ষায় রাষ্ট্রীয় বিনিয়োগ সর্বোচ্চ : আরব আমিরাতের লক্ষ্য এখন দক্ষ জনশক্তি তৈরি করা। ২০১৭ সালের অক্টোবরে আরব আমিরাত ‘One Million Arab Coders‘ নামক এক প্রকল্প শুরু করার ঘোষণা দিয়েছে। ‘ওয়ান মিলিয়ন আরব কোডার’ এই প্রকল্পের আওতায় পুরো আরব আমিরাতজুড়ে এক মিলিয়ন তরুণকে প্রোগ্রামিংয়ে দক্ষ করে গড়ে তোলা হবে। তারা আগামী দিনে আরব আমিরাতের তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতকে যোজন যোজন দূরে এগিয়ে নেবেন বলে এই প্রকল্প পরিচালকদের আশা। পাশাপাশি সামাজিক উন্নয়নের দিকেও মনোযোগ দিচ্ছে আমিরাত প্রশাসন। রাষ্ট্রীয় বাজেটের প্রায় চল্লিশ শতাংশই ব্যয় হবে সামাজিক উন্নয়নে। শিক্ষা খাতে বরাদ্দ মোট বাজেটের ১৭ শতাংশ, যা অন্য যেকোনো আরব দেশের চাইতে বেশি।


৬. অনলাইন শপিংয়ের স্বর্গরাজ্য : দেশটিতে যারা বেড়াতে যান, তারা মোটেই খালি হাতে ফিরে আসেন না, কিনে নিয়ে আসেন একগাদা জিনিস। পৃথিবীর সবচেয়ে বড় বড় শপিংমলগুলোও তাই ঠাঁই গেড়ে নিয়েছে দুবাইয়ে। তবে বড় বড় শপিংমলের পাশাপাশি অনলাইন শপিংকেও দ্রুত এগিয়ে নিচ্ছে আমিরাত। দুবাইয়ে ঘুরতে এসে শপিং মলে সময় নষ্ট করতে চান না, এমন পর্যটকরাও যাতে হাতের নাগালেই সব শপিং করতে পারেন, তাই আরব আমিরাত গুরুত্ব দিচ্ছে ই-কমার্সের প্রতি।

৭. ত্রিমাত্রিকভাবে প্রিন্টের অফিস ভবন:

,৭০০ বর্গ ফুটের একটি অফিস ভবন তৈরি করতে সময় লেগেছে মাত্র সতের দিন আর মানুষ লেগেছে মাত্র আঠার জন! থ্রিডি প্রিন্টিংয়ের সহায়তা নিয়ে খুব কম সময় আর কম লোকবল ব্যবহার করেই দুবাইতে নির্মিত হয়েছে এমন ভবন।
ভবনটি উদ্বোধনের সময় দুবাইয়ের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন রাশিদ আল মাকতুম বলেন,“দুবাইকে একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে আধুনিক নগরী হিসেবে গড়ে তোলার পরিকল্পনার একটি অংশ হিসেবেই বাস্তবে রূপ দেওয়া হয়েছে এই থ্রি-ডি প্রিন্টেড বিল্ডিংকে।”

বর্তমানে এই ভবনটি দুবাই ফিউচার ফাউন্ডেশনের অফিস হিসেবে ব্যবহার হচ্ছে। অচিরেই এটিকে এক্সিবিশন, ওয়ার্কশপ এবং অন্যান্য কাজের জন্য ব্যবহার করা হবে বলে জানিয়েছে আমিরাত প্রশাসন

৮. বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ : আকাশের বুকে ঘর বানিয়েই ক্ষান্ত থাকেনি আমিরাতবাসী, পারস্য উপসাগরের কূলে ৫২০ কিলোমিটার জুড়ে তারা বানিয়েছে কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ। দেখতে অনেকটা পাম গাছের মতো এই দ্বীপপুঞ্জের নাম ‘পাম জুমেইরাহ’। –কমন্স.উইকিমিডিয়া.অর্গ
পাম জুমেইরাহ পৃথিবীর বৃহত্তম কৃত্রিম দ্বীপপুঞ্জ। এটি নির্মাণের ফলে একদিকে যেমন দুবাইয়ের আবাসন সংকটের সমাধান হবে, তেমনি অন্যদিকে পৃথিবীজুড়ে লাখো পর্যটকের গন্তব্য হয়ে উঠবে। প্রস্তুত করা হয়েছে চার হাজারের অধিক বিলাসবহুল কটেজ। মূলভূমির সাথে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের কারণেই এটি ধীরে ধীরে হয়ে উঠছে দুবাইয়ের মূল আকর্ষণ।

দেশটিতে কৃত্রিমভাবে নির্মিত দীর্ঘ সমুদ্র সৈকত আর বিলাসবহুল নৌকায় সুসজ্জিত এই দ্বীপ ছুটি কাটানোর জন্য অনেক ধনকুবেরের স্বপ্নের গন্তব্য হয়ে উঠেছে। আর এভাবেই তেলভিত্তিক অর্থনীতিকে কাজে লাগিয়ে প্রথমে অবকাঠামো উন্নয়ন, পর্যটনশিল্পের বিকাশ করে উন্নয়নের পথে সমসাময়িক সময়েই স্বাধীন হওয়া কিংবা তেলের উপর নির্ভরশীল বাকি আরব দেশগুলোর চেয়ে অনেকদূর এগিয়ে গেছে দেশটি

কিভাবে এত দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে ?

আরব দেশসমুহের মধ্যে সৌদি আরব যা পারেনি, সংযুক্ত আরব আমিরাত তা করে দেখিয়েছে সৌদি আরব যা পারেনি, সৌদি আরব আয়তনেও সংযুক্ত আরব আমিরাত এর চেয়ে অনেক গুন বড় এবং তার তেল রপ্তানি সংযুক্ত আরব আমিরাত এর তিন গুন। কিন্তু সংযুক্ত আরব আমিরাত এগিয়ে যাচ্ছে দ্রুত। সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতি মধ্য প্রাচ্যে সৌদি আরবের (৭৮২. ২৫ বিলিয়ন) পরে দ্বিতীয় বৃহত্তম, ২০১৮ সালে মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৪১৪ বিলিয়ন ডলার সংযুক্ত আরব আমিরাত তার আয়ের উৎসের মধ্যে বৈচিত্র্য আনতে পেরেছে। যেখানে এখনো সব আরব দেশসমুহের প্রধান নির্ভরশীলতা তেলের উপর। তেলের দাম উঠা নামার উপরে তাদের অর্থনৈতিক গতি প্রকৃতি নির্ভর করে। সংযুক্ত আরব আমিরাত তেলের উপর নির্ভর না করে পর্যটনের উপরে গুরুত্ব দেয়া শুরু করে তার আয়ের উৎসের মধ্যে বিভিন্ন ধরনের পণ্য উৎপাদন, পেট্রোলিয়াম, পেট্রোকেমিক্যালস, অ্যালুমিনিয়াম এবং সিমেন্ট শিল্প প্রভৃতি গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রাখছে

পর্যটনশিল্পে সংযুক্ত আরব আমিরাত এত এগিয়ে গেছে যে সারা দুনিয়া থেকে মানুষ দুবাই, আবুধাবিতে ভিড় জমায়। দুনিয়ার সর্ব্বোচ্চ ভবন" বুর্জো আল খলিফা " দুবাইয়ে অবস্থিত। আমি একটি উদাহরণ দিচ্ছি, আমার এক বন্ধু থাকে ইংল্যান্ডে সে এক সময় দেশে ফেরার সময়, প্লেনে তার পাশের যাত্রীদের পরিচয় জিজ্ঞেস করে জানতে পারে তারা নতুন দম্পতি বিবাহের পরে মধুচন্দ্রিমায় দুবাই যাচ্ছে"। কিন্তু দুবাইয়ে না মিশরের পিরামিড আছে? না তাজমহল আছে? না চীনের গ্রেট ওয়াল আছে? যে ইউরোপের মানুষ দুবাই যায় , দুবাই সারা দুনিয়াকে চুম্বকের মত আকর্ষণ করছে

আজ গ্লোবাল ব্যবসায়ের জন্য একটি বড় আকর্ষণ হয়ে দাঁড়িয়েছে, আমিরাতের ৩০ টি মুক্ত অঞ্চলগুল আছে যেখানে যে কেউ, যে কোন বিদেশি বিনিয়োগ করে প্রায় জিরো ট্যাক্স সুবিধা, কাস্টম শুল্ক সুবিধা এবং ১০০ % মালিকানার সুবিধা দেয়। এই সুবিধাসমুহ আজ দুবাইকে সারা দুনিয়ার মিলিয়ন, মিলনস্থল বানিয়েছে এবং যা মধ্য প্রাচ্য এবং আফ্রিকার বড় বড় ব্যবসার কেন্দ্রবিন্দু

সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাই বিশ্বের তৃতীয় ধনী দেশ, দ্বিতীয় অবস্থানে আছে লুক্সেমবার্গ এবং কাতার এক নম্বরে, দুবাইয়ের মাথাপিছু আয় প্রায় $ ৫৭,৭৫০

সংযুক্ত আরব আমিরাত সম্পর্কে অজানা ১০টি তথ্য

বয়সে অনেক নবীন। ঠিক যেন তন্বী তরুণী। আপামর বিশ্বের কাছে স্বপ্নপুরীসম। বিলাসে, আভিজাত্যে অতুলনীয়। আবার অন্যদিকে, অপরাধ জগতের কেউকেটাদের পারফেক্ট হাইডআউট বা গোপন আস্তানা। সব বিশেষণগুলিকে একত্রিত করলে যে নামটা মাথায় আসে তারই কথা বলছি। ইউএই বা সংযুক্ত আরব আমিরাত। অফুরান তেলের খনি, প্রাচুর্য ও বৈভবের সংমিশ্রণে তৈরি এই দেশ যেন স্বপ্নালোক। আর আজ, ২ ডিসেম্বর তাদের ৪৬তম জাতীয় দিবসে আপনাদের জন্য রইলো আরব আমিরাতের কিছু অজানা তথ্য। পড়ে দেখুন তো আগে জানতেন কি না!

 

১. সাতটি আমিরাতকে সংযুক্ত করে বিশ্বের মানচিত্রে আত্মপ্রকাশ করে আরব দুনিয়ার এই দেশ। দেশের রাজধানী আবু ধাবি হল বৃহত্তম আমিরাত। গোটা দেশের আয়তনের ৮৭ শতাংশ রাজধানীর দখলে। ক্ষুদ্রতম হল আজমান, মাত্র ২৫৯ কিমি যার আয়তন।

 

২. যদিও আবু ধাবি বৃহত্তম তবুও জনসংখ্যায় এগিয়ে দুবাই আমিরাত। আর কে না জানে জনপ্রিয়তায় দুবাই-ই হল বিশ্বের অগ্রণী ভ্রমণস্থান।

 

৩. দেশে ভিনদেশিদেরই আধিক্য বেশি। আরব দুনিয়ার বাসিন্দা এখানে সংখ্যায় নগন্য। পশ্চিম এশিয়ার ওমান উপসাগর ও পারস্য উপসাগর ঘেরা এই দেশের দেশের জনসংখ্যার ২৭.১৫ শতাংশই ভারতীয় প্রবাসী।

 

৪. আমিরাতে পুলিশের চোখে ধুলো দিয়ে পালানো বেশ মেহনতের কাজ। এমনটা ভেবে থাকলে বিপদ। কারণ, দুবাই পুলিশের ভাঁড়ারে রয়েছে ল্যামবর্ঘিনি, বেন্টলি এবং ফেরারির মতো ফাস্ট অ্যান্ড ফিউরিয়াস গাড়ি।

 

৫. গৃহিণীর জন্য ১৫ হাজার মার্কিন ডলারের উপহার কিনতে হবে? হাতে সময়ও নেই বেশি? কুছ পরোয়া নেহি। এই দেশে আছে গোল্ড এটিএম। হ্যাঁ, ঠিক পড়েছেন- সোনা। সেই এটিএম-এ টাকা ঢোকালেই মিলবে দামি গয়না ও সোনার ঘড়ির মতো জিনিস।

 

৬. আরব দুনিয়ার এই দেশের এক শীর্ষ মৌলবির তথ্য অনুযায়ী, বিশ্বের উচ্চতম বিল্ডিং বুর্জ খলিফার ৮০ তলার উপরে যাঁরা বাস করেন তাঁদের রমজানের সময় অতিরক্তি ২-৩ মিনিট অপেক্ষা করতে হয় ইফতারের জন্য। কারণ, উঁচুতে সূর্যকে বেশ কিছুক্ষণ দেখতে পান তাঁরা।

 

৭. আবু ধাবির মাসদার শহর পুরোপুরি সৌরশক্তি ও অন্যান্য বিকল্প শক্তিতে নির্ভরশীল। প্রাইভেট গাড়ি এ শহরে নিষিদ্ধ। পরিবহণ ব্যবস্থা এখানে ইলেকট্রিক গাড়ি, পরিশুদ্ধশক্তির গাড়ি এবং ব্যক্তিগত পড কারের উপরই টিকে রয়েছে। ভাবুন, দূষণের কোনও নামগন্ধ নেই।

 

৮. বুর্জ খলিফার আদতে নাম রাখা হয়েছিল বুর্জ দুবাই। কিন্তু রিসেশনের সময় এই বিল্ডিং নির্মাণে আবুধাবি সাহায্য করেছিল বলে শেখ খলিফার নামে এর নামকরণ হয়।

 

৯. আবুধাবিতেই রয়েছে বিশ্বের বৃহত্তম ইনডোর বিনোদন পার্ক ফেরারি ওয়ার্ল্ড।

 

১০. বিশ্বের কর্মরত ক্রেনের ২৫ শতাংশই দেখা যাবে দুবাইয়ে। এই দেশ অনবরত নির্মীয়মাণ। উন্নতির যেন কোনও বিরাম নেই!

------------------------------------------------------------------------------------------------------------------

(**) Z_¨m~Î : B›Uvi‡bU

-         Rvwn` Avn‡g` I Zvi ¯§„wZ cwil`|

ইসলামিক /মুসলিম দেশে যত সব ভাস্কর্য / মুর্তি

 ইসলাম‌িক  বা মুসলিম দেশে যত সব ভাস্কর্য / মুর্তি  --------------------------------------------------------------- পা‌কিস্তান , সৌ‌দি আর‌ব ...